ফকিরহাটে এনজিওকর্মী গণধর্ষণের ঘটনায় আটক মামুনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামী মামুন আটক হলেও বাকী তিন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। রবিবার ফকিরহাট মডেল থানায় নিজে বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন ওই তরুণী। এদিকে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, খুলনা জেলার ওই তরুণী (২৫) ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়ায় ‘সাস’ নামক একটি এনজিওতে চাকরি করেন।চাকরী সুত্রে তিনি লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামে বাড়ীভাড়া করে থাকেন। শনিবার রাতে চার যুবক ওই ভাড়া বাড়ীতে হানা দিয়ে গণধর্ষণ চালায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং একটি অভিযোগ গ্রহণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামুন নামক একজনকে আটক করে। মামুনকে আটকের পর তরুণী নিজে বাদী হয়ে মোট চারজনের নাম উল্লেখ করে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৭, ১১.১০.২০২০ইং।
মামলার চার আসামী হলেন জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামের শের আালী শেখের পুত্র মোঃ মামুন শেখ (৩০), সিরাজ নিকারীর পুত্র ফিরোজ নিকারী (২৯), রাজু (২৫) ও ছোট খাজুরা গ্রামের মূসা (২৯)। মামলা পরবর্তী পুলিশ ওইদিনই ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সৈয়দ বাবুল আক্তার জানান, মামলার প্রধান আসামী মামুনকে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। বাকী আসামী আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম