বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়া আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন, প্রার্থিতা ফেরত পেতে প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাব।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন।
মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন হিরো আলম।
সেখানে তিনি বলেন, আপিলে মনোনয়ন ফেরত না পেলে হাইকোর্টে যাব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন হিরো আলম। ফরম যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণে কমিশন তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম বলেন, ‘এখানে প্রার্থিতা যদি ফিরে না পাই, আপনারা সবাই জানেন, সর্বোচ্চ দৌড় হাইকোর্ট পর্যন্ত থাকে—আমরা হাইকোর্টে যাব। আমি জানি এখান থেকে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আমার যে ভুলটা, ছোটখাটো ভুল। এটা ইচ্ছা করলে তারা এখান থেকে দিতে পারে।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো। নির্বাচন এবার সুষ্ঠু হবে কিনা তা জানি না। কারণ আমি যেখানে নির্বাচন করছি সেখানে সবগুলো দলই আছে এবার; আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, আরও যেসব দল—সবগুলো দলই অংশ নিচ্ছে।
হিরো আলম মনে করেন এবার সংঘাত হবে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগে। ‘আপনারা জানেন, আমার তো প্রতিবারই আওয়ামী লীগের লোকের সঙ্গে মারামারি হয়। এবারও আওয়ামী লীগ ওখানে আছে। এবারও মারামারি হবে না কি আমি জানি না সঠিক। প্রতিবারই তারা আমার এজেন্টদের বের করে দেয়। ভোট সুষ্ঠু হলেও তারা ফলাফল সুষ্ঠু ঘোষণা করে না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি বলেছিলাম নির্বাচন আর করব না। এবার নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। এলাকার লোক সবাই বলছে, না, নির্বাচন করেন। আপনি এত সংগ্রাম-লড়াই করে এতদূর এসেছেন, হাল কেন ছাড়বেন! জনগণের সমর্থনে, সবার সমর্থনে নির্বাচনে আসা। এখন ভোট কতটা সুষ্ঠু হবে আমি জানি না, নির্বাচনের দিন দেখার পালা। প্রতিবারই আমরা বলি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিন্তু ভোটের দিন আমরা পরিবেশ উল্টো দেখি।’
এই নির্বাচনে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই, আমি যে কয়বার নির্বাচন করেছি, সেই কয়বারই আমার সঙ্গে মারামারি হয়েছে। এবার যে হবে না…কারণ জনগণ তো আমাকে ভালোবাসে, ভোট দেয়। এখন ভোট যদি আমাকে দেয়, আর প্রার্থীদের যদি না দেয় ওরা তো জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইবে। এবারও হয়তো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।’
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে সেই আশায় আবারও আমরা নির্বাচনে এসেছি। বাকিটা নির্বাচনের মাঠে আপনারা সবাই দেখবেন।’
প্রসঙ্গত, হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।
হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচনে ফিরে আসেন হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে পরাজিত হন আলম।
এর পর ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। সেখানে ভোটের দিন মারধরের শিকার হন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এএজে