খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রয়াত রিজিয়া নাসের ছিলেন একজন মহীয়সী নারী এবং লুৎফুন নেছা লুৎফা ছিলেন জনকল্যাণে নিবেদিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। উনিশশ’ পচাঁত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার পর তাঁর ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসের এর সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচিমা রিজিয়া নাসের ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনের অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি নাবালক সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
সিটি মেয়র আজ বুধবার সকালে কেসিসি পরিচালিত খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রয়াত লুৎফুন নেছা লুৎফার স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
খুলনা কলেজিয়েট গালর্স স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ তৌহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা ও খুলনা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা লুৎফুন নাহার।
সিটি মেয়র আরো বলেন, লুৎফুন নেছা লুৎফা আমৃত্যু সমাজ উন্নয়ন ও জনকল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ধৈর্য্যশীল ও বুদ্ধিমতি এই নারী সুন্দর আচরণের দ্বারা সকলের মন জয় করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারি অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনি, চিশতি মুস্তাবি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আলোচনা শেষে মরহুমা রিজিয়া নাসের ও লূৎফুন নেছা লুৎফার রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষক মোঃ আশিকুজ্জামান শেখ। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম