প্রেম করার পরিণতি যে এমন হবে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি ওই তরুণ-তরুণী। পরিবার প্রেমের কথা জেনে যাওয়ার পর রক্ষা হয়নি তাদের। ওই দুইজনকে খুন করে কুমির ভর্তি নদীর জলে তাদের দেহ ফেলে দেওয়া হল। পুলিশের জেরার মুখে একথা কথা স্বীকার করেছে তরুণীর পরিবার।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই দুই প্রেমিক-প্রেমিকা হলো শিবানী তোমর (১৮) এবং বালুপুরা গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমর (২১)। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ জুন থেকে তারা নিখোঁজ হয়। তরুণের বাড়ির লোকের অভিযোগ, তরুণীর পরিবারের সদস্যরা দু’জনকেই খুন করেছেন। কারণ তারা প্রথম থেকেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন।
শুরুতে পুলিশ প্রথমে যুবকের পরিবারের অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। যুগল পালিয়ে গেছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিল তারা। দু’সপ্তাহ পর পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্তরাই স্বীকার করে নেন খুনের কথা। পুলিশকে তরুণীর বাবা রাজপাল সিংহ তোমর জানান, তারা প্রেমিক-প্রেমিকাকে গুলি করে খুন করেছেন। তারপর চম্বল নদীতে ফেলে দিয়েছেন তাদের দেহ।
স্বীকারোক্তির পরেই নদীতে দেহের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ডুবুরি নামিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ডেকে দেহের খোঁজ চলছে। কিন্তু ওই নদীতে কুমিরের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই দেহ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তরুণীর পরিবারের দাবি, তরুণের জাত ভিন্ন হওয়া তাকে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ খুনে ১৫ জন জড়িত ছিল। তাদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে দেহ না মিললে খুনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করা যাবে না। দোষীদের শাস্তিও নিশ্চিত করা যাবে না। তাই দেহের সন্ধানে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ। পাশাপাশি তদন্ত শুরুতে ঢিলেমির যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। সূত্র: আনন্দবাজার।
খুলনা গেজেট/এনএম