বিয়ের দাবিতে দীর্ঘ ৭০ দিন ধরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর বানিয়া পাড়ায় ছেলের বাড়িতে অবস্থানের পর অবশেষে সকলের সহযোগিতায় সেই দুলালী রানীর সাথে তাপস বর্মনের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
দুলালী রানীর বাবা অখিল বর্মন জানান, সকালের সহযোগিতা ও সুবিচার পেয়ে মেয়েকে বিয়ে দিতে পারলাম। এ জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমার মেয়ের বৈবাহিক জীবন যাতে সুন্দর হয় তার জন্য আশীর্বাদ কামনা করছি। তাপস ও দুলালীর বিয়েতে গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফিজার রহমান (দুলাল), সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন (সাজু), রায়হান উদ্দিন (রিপন), গড়েয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাজেদুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের এই আনুষ্ঠানিক বিয়েতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, নিজেদের প্রেম ও ভালোবাসাকে ছেলের পরিবার মেনে না নেওয়ায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেও ভাগ্যের জোরে সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুরের বানিয়া পাড়া গ্রামের অখিল চন্দ্র বর্মন মেয়ে ও গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী দুলালী রানী(১৯)। এ ঘটনায় গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে পিতার দায়ের করা অভিযোগের সালিশ বৈঠকে প্রেমিকের পরিবার দুই দফায় সময় নিয়েও প্রেমিককে হাজির করাতে ব্যর্থ হওয়ায় আর কোনো উপায় না পেয়ে বিষের বোতল হাতে নিয়ে বিয়ের দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বরে প্রেমিক তাপসের বাসায় অবস্থান নেয় প্রেমিকা দুলালী রাণী। অপরদিকে এ ঘটনায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় প্রেমিক তাপসের বাবা পরেশ চন্দ্র বর্মন ও তার পরিবার। অবশেষে সকলের সহযোগিতায় সেই দুলালী রানীর সাথে তাপস বর্মনের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।