যশোরের ঝিকরগাছার ফল ব্যবসায়ী নিহত আকিকুল ইসলামের সাথে কুড়ি বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের সুফিয়া বেগমের। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে তিনি যশোর শহরে এসে ষষ্ঠিতলাপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এখানে তিনি একটি খাবারের হোটেলে কাজ করেন।
গত ৯ জুলাই রাত ৯টার দিকে তার ঘরে যায় আকিকুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তিনি সুফিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি ধাক্কা দেন। এতে আকিকুল ঘরের দরজায় পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান ও মারা যান। আটকের পর বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দী দিয়েছেন সুফিয়া বেগম।
জবানবন্দীতে তিনি বলেছেন, গত কুড়ি বছর যাবৎ তার সাথে আকিকুলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওইরাতে তিনি তাকে ধাক্কা দিলে দরজায় মাথায় আঘাত লাগার পর বুকে ব্যথা করছে বলে নিচে বসে পড়েন আকিকুল। এরপর তাকে পানি খাওয়ান সুফিয়া। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন আকিকুল। এতে ভয় পেয়ে যান সুফিয়া। এরপর তিনি মরদেহটি টেনে গলির রাস্তায় এনে রেখে দেন ও ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন।
আটকের পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে ডিবি পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে, আকিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। বুধবার রাতে থানায় মামলাটি করেছেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এ মামলার রহস্য। আকিকুলের ব্যবহৃত বেল্ট ও গেঞ্জি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাতে শহরের মুজিব সড়কের মডেল মসজিদের সামনে ষষ্ঠিতলার একটি গলির ভেতরের রাস্তা থেকে ঝিকরগাছা বাজারের ফল ব্যবসায়ী আকিকুল ইসলাম আখির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আকিকুল ইসলাম ঝিকরগাছা উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।
খুলনা গেজেট/কেডি