কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে শিক্ষাজীবন, স্থবির শিক্ষার্থীরা। অফিস-আদালত সব খুলে দেয়া হয়েছে, শুধু বাকী জ্ঞানের আলোকবর্তিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। দীর্ঘদিন প্রিয় বিদ্যাপীঠের স্পর্শ না পাওয়ায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে- বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারা খুব দ্রুত ফিরতে চায়, তাদের ভালবাসার জায়গাটিতে।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও যেনো হাহাকার করছে, প্রাণহীন অবস্থা। পাঠগ্রহনের পর সহপার্টির সাথে খুনসুটিতে মেতে উঠার সঙ্গী বেঞ্চগুলোর মনের ভাব যদি মানুষ বুঝতে পারতো! তাহলে তাদের কান্নার আওয়াজে মানুষের ও কাঁদতে ইচ্ছে করতো।
শুধু কি তাই? এইচএসসি পরিক্ষা পরবর্তী সময়ে ভার্সিটিতে ভর্তি জন্য শিক্ষার্থীর যে দৌড়াদৌড়ি সেটাও থেমে গেছে। মহামারি করোনার জন্য। সকলেই চাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্বপ্নের ভার্সিটিতে ভর্তি হতে চায়।
এছাড়াও যে শিক্ষার্থীরা ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল, তারা তাদের মনের ভিতর আশার বীজ রোপণ করেছিল; তাদের ক্যাম্পাসকে তারা আনন্দে উল্লাসে মাতিয়ে তুলবে। কিন্তু কোথায় সেই আনন্দ? সব আনন্দ ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে মহামারি করোনা।
জীবন দিতে হয়েছে- অনেক আশার বীজ রোপণকারীকে চিকিৎসক, শিক্ষকদের। প্রতি শিক্ষার্থী এখন চাই স্বাভাবিক জীবন, ফিরতে চাই স্বপ্নের ক্যাম্পাসে।
আবু সাহাদাৎ বাঁধন
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।