বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও খুলনা বিভাগীয় দলের কোচ শেখ সালাহ উদ্দিনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অফ স্পিন বোলিংয়ে নতুন দিগন্ত দেখানো বাংলাদেশের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার ২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পরপারে চলে যান জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনাকে একাধিক শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেয়া এই কোচ। আজ তার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৯৭ সালের এশিয়া কাপে বোলিংয়ে চমক দেখানো শেখ সালাহ উদ্দিন পরে কোচিং পেশায়ও সাফল্য পান। তার হাত ধরেই আজকের নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজরা জাতীয় দলে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার একাধিক শিরোপায় অবদান তার। সব ক্রিকেটারের কাছে ছিলেন প্রিয় কোচ সালাহ উদ্দিন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন দিনদিন উন্নতি করছে তখনই এই সালাহ উদ্দিনের আগমন। ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয় শেখ সালাহ উদ্দিনের। ওই এশিয়া কাপে তার বোলিং স্টাইল ও অফ স্পিন সবার নজরে পড়ে। তখন এশিয়া কাপে অংশ গ্রহণই বাংলাদেশের বড় লক্ষ ছিলো। ওই সময়ে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আলোচনার বিষয় ছিলেন সালাহ উদ্দিন। যদিও তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার খুব বেশী সমৃদ্ধ নয়। মোট ৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে কিছুদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও অল্প দিনেই শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। বিসিবির ডেভলেপমেন্টের খুলনা বিভাগীয় কোচ ছিলেন তিনি। আজকের মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহানের ক্রিকেট শেখা শুরু হয় তার হাত ধরেই। জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার নিয়মিত কোচ ছিলেন সালাহ উদ্দিন। মৃত্যুর আগের বছরেও তার অধীনে শিরোপা জেতে খুলনা।
১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। আর ২০১৩ সালের এই দিনে হঠাৎই হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন সালাহ উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/এএমআর