সংগীতের অবদান রাখার জন্য সংগীতশিল্পী শুভ্রদেবকে ২০২৪ সালে একুশে পদক পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। তবে শুভ্রদেবকে এই সম্মান দেওয়ায় সমালোচনা করছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন সংগীতজ্ঞ প্রিন্স মাহমুদ। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমালোচনা করে শুভ্রদেবকে একুশে পদক ফিরিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে শুভ্রদেব মনে করেন, এই পুরস্কার তার অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল।
আর একুশে পদক নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ যে পরামর্শ দিয়েছেন সে বিষয়ে শুভ্রদেব দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বলছেন বলেন, ‘প্রিন্স মাহমুদ কাজের ক্ষেত্রে আমার অনেক ছোট। একটা সময় গান নেওয়ার জন্য সে আমার পল্লবীর বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকত। সেগুলো বলতে চাই না। সে তো আমাদের লেভেলের কেউ না। আমি তাদেরই গণ্য করবো যাদের বিশ্বসংগীতে অনেক বেশি কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। যারা সমালোচনা করছে তারা জেলাসের জায়গা থেকে সমালোচনা করছে। এগুলো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।’
কেনো তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে এক সাক্ষাৎকারে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই শিল্পী। শুভ্রদেব বলেন, ‘সংগীত হল গুরুমুখী বিদ্যা। এটা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। কিন্তু আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যা দিয়েছি এমনটা খুব কম শিল্পীর কন্ট্রিবিউশন আছে। শুধু গান গাইলেই হয় না। আমি যদি বলি, বাংলাদেশের কোন সংগীতশিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন শিল্পী থিম সং করেছে তাহলে আপনি কিন্তু কারো নাম বলতে পারবেন না। দেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে বলিউডের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে আমন্ত্রণ পেয়েছি। এগুলো হয়েছে ১০-১৫ বছর আগে। এছাড়া মাত্র ১২ বছর বছর বয়সে আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। মাদার তেরেসাসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছি। এজন্য যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানে, তারা বেশিরভাগই বলেছেন, এই পদক অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল।
খুলনা গেজেট/এমএম