ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ৯নং নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজার অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেনকে ডেকে বের করে এনে মারধর করে চোখে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে ফেনী-৩ আসনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহর বিরুদ্ধে।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনাগাজীর ভোরবাজার অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৪ নাম্বার ভোট কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এই কেন্দ্রে তিন হাজার ৬৫৮ মহিলা-পুরুষ ভোটার রয়েছে। ভোটগ্রহণের নারী-পুরুষের জন্য ৮টি বুথ রাখা হয়েছে।
সকাল থেকে ভোটাররা এসে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোট দিচ্ছিলেন, হঠাৎ করে ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ ৭-৮ জন যুবকসহ অতর্কিতভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে জিজ্ঞেস করলেন, জাল ভোট কেন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? এমন কথা বলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন করে আমার বিরুদ্ধে বিত্তহীন ভাবে মৌখিক অভিযোগ দেন। আমি এমন নির্দেশ দেয়নি বলা মাত্রই ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ আমার মুখে থাপ্পড় মেরে আমার ডান চোখে আঘাত করেন এবং কয়েকবার থাপ্পড় মারার জন্য হাতও তুলেন। পরে তিনি গালাগালি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার জাল ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এই জন্য উনার বিরুদ্ধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈগল মার্কার এজেন্ট আতাউল্লাহ বলেন, সকাল থেকে এই কেন্দ্রে কোনো জাল ভোট পড়েনি। আমাদের কোনো এজেন্ট কেউ বের করেনি। তবে প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধরের কথা শুনেছি দেখিনি। ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত আনসার সদস্য বলেন, ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ ভোট কেন্দ্রে ডুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে গালাগালি করে মারধর করে চলে যান।
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। একটি ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া মাত্রই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে