রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন। বিধ্বস্তের ৩০ সেকেন্ড আগেও সব কিছু স্বাভাবিক ছিল বিমানটির। আকস্মিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব যাত্রী নিহত হয়েছেন। বিমানে ছিল ১০ জন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এমব্রায়ের (ইএমবিআর৩.এসএ) লিগাসে এক্সিকিউটিভ জেট বিমানে করে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিনসহ মোট ১০ আরোহী। রাডারের তথ্য থেকে জানা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগেও এতে কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না। হঠাৎ করেই বিমানটি খাড়াখাড়িভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
রাশিয়ার বিমান চলাচল সংস্থা রোসাভিয়াৎসিয়া দুর্ঘটনার পর পরই জানায়, বিধ্বস্ত বিমানে ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার সময় মস্কোর তাভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানায় রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়।
প্লেনটি হঠাৎ করেই মাটিতে আছড়ে পড়ার ব্যাপারে ফ্লাইটরাডার২৪-এর ইয়ান পেটচিনিক বলেছেন, “গ্রিনিচ মান সময় দুপুর ৩টা ১৯ মিনিটে প্লেনটি বিধ্বস্তের ৩০ সেকেন্ড আগে ‘হঠাৎ খাড়াখাড়িভাবে’ নিচু হয়ে যায়। এটি ২৮ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ৮ হাজার ফুট খাড়াভাবে নামে। যা হয়েছে, খুব দ্রুত হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিমানটিতে কী হয়েছে এখন এ নিয়ে হয়তো তাদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার আগে, প্লেনটিতে কোনো ধরনের গোলযোগের আলামত ছিল না।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি খুব দ্রুতগতিতে নিচে নেমে আসছে এবং এটির নাকটি প্রায় সোজা বরাবর নিচের দিকে ছিল। এ ছাড়া বিমানটির পেছনের দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কিছু সূত্র রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস, প্লেনটি এক বা একাধিক সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে রয়টার্স এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
ব্রাজিলিয়ান প্লেন উৎপাদনকারী এমব্রায়ার জানিয়েছে, যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা কোনো সার্ভিস করেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম