হলিউড অভিনেতা ক্রিস ‘থর’ হেমসওর্থ এবং স্প্যানিশ অভিনেত্রী তথা মডেল এলসা পাতাকি। দুজনে বিয়ে করেছেন ২০১০ সালে।
সম্প্রতি আবার তারা শিরোনামে উঠে এসেছেন। এবার তাদের সম্পর্কজনিত কারণে কিংবা অভিনয় সংক্রান্ত কারণে নয়। বরং একটি বিরাট প্রাসাদ শিরোনামে টেনে এনেছে তাদের।
জলাশয়ের ধারে সবুজের ঘোরাটোপে একেবারে অন্য রূপের প্রাসাদ বানাচ্ছেন এই দম্পতি। স্পা, জিম, প্যান্ট্রি, ঘরে-বাইরে বিশালাকার খেলার জায়গা থেকে শুরু করে আলাদা আলাদা শোওয়ার ঘর, পোশাক বদলের ঘর-সবই রয়েছে।
এই বাড়িতেই তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন তারা। যা দেখে অনেকেই আবার কটাক্ষ করে একে প্রাসাদ না বলে হোটেল কিংবা শপিং সেন্টার বলেছেন।
তবে সমালোচকদের ব্যঙ্গে কিছু এসে যায় না বলেই জানিয়েছেন তারা। ওই তারকা দম্পতি এই সম্পত্তিটি কেনার পর থেকেই তার মূল্য বাড়তে শুরু করে। রূপ বদলের পরে প্রাসাদটির মূল্য দাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
২০১৭ সালে ক্রিস এবং এলসা প্রাসাদটি কিনেছিলেন। প্রাসাদটি রয়েছে বাইরন বে-র ব্রোকেন হেড-এ।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে অবস্থিত সমুদ্র শহর বাইরন বে। এই প্রাসাদটি আসলে একটি রিসোর্ট ছিল। সেটাকেই তারা বাড়ির রূপ দেন।
কেনার সময় এর মূল্য ছিল ২ কোটি ডলারের মতো। একে বাড়িতে পরিণত করার পর এর মূল্য দাঁড়ায় ৩ কোটি ডলারেরও বেশি।
আটটি শোওয়ার ঘর রয়েছে এই প্রাসাদে। প্রাসাদের ছাদে ৫০ মিটার লম্বা একটি সুইমিং পুল বানিয়েছেন তারা। যা বানাতে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ডলার। বাড়ির সামনে যে জলাশয় রয়েছে তা বানাতে খরচ পড়েছে ৫ লাখ ডলার।
এছাড়া এতে ৫টি শোওয়ার ঘর, হোটেলের মতো ৫টি স্যুইট, স্পা, ঘরে এবং বাইরে আলাদা রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে গাড়ি রাখার ৪টি গ্যারেজও।
এছাড়া সিনেমা দেখা, ম্যাসাজ ম্যাসাজ নেওয়া, স্টিম নেওয়া ও খেলার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। এর বিশেষ আকর্ষণ একটি মাটির ঘর। তারা এই প্রাসাদের নাম দিয়েছেন ‘কুইলোয়া’। এর অর্থ কী তা এখনো খুলে বলেননি ক্রিস এবং এলসা।
সূত্র : আনন্দবাজার ও ডেইলি মেইল
খুলনা গেজেট/কেএম