সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যকে গুজব বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, `প্রশ্ন ফাঁসের কোনো খবর পাইনি, যা শোনা যাচ্ছে তা গুজব। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসের খবর পান তাহলে আমাদের জানান।‘
শুক্রবার সকাল ১১টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, `সামাজিক যোগাযোগে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। এ ধরনের কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমরা পায়নি। আপনাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।‘
এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, `প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নানাামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এতো বিরাট সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ এর মধ্যে একটি।‘
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা হয় আজ। আর দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ও তৃতীয় ধাপে ৩ জুন পরীক্ষা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়োগে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই হিসেবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।
শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রথম ধাপে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বেলা ১২টায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম ধাপে পরীক্ষা হবে ২২ জেলায়। এর মধ্যে ১৪ জেলার সব ও ৮ জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ২০ মে। এ ধাপে ৩০ জেলার মধ্যে ৮ জেলার সব ও ২২ জেলার আংশিক পরীক্ষা হবে। আর তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। এ ধাপে পরীক্ষা হবে ৩১ জেলায়। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব ও ১৪টিতে হবে আংশিক পরীক্ষা।