সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আগের বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। আগের বিধিমালা অনুসারে এসএসসি বা এইচএসসি পাস করা শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছিল না।নিয়োগবিধির এ জটিলতা নিরসন করে এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষককেই বেতন ১৩তম গ্রেডে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত রোববার অর্থ বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার সিদ্ধান্ত হয়। এত দিন প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন।
কিন্তু পরিবর্তিত নিয়োগবিধির কারণে যোগ্যতার কারণে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে অসংখ্য শিক্ষক বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, পরে তা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এখন আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩–এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি দূর হবে বলে মনে করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষকেরা।
এ বিষয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে এই জটিলতার নিরসন হবে বলে তাঁরা মনে করেন। এতে আর শিক্ষকেরা বঞ্চিত হবেন না। এখন তাঁরা চান দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হোক।
বর্তমানে প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। আর বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কোনো পদ নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম