সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নানান উপায়ে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। তাই এসব কারণে বরিশাল বিভাগের ফাতেমা আক্তারসহ ৫৪ পরীক্ষার্থী বাতিল চেয়ে রিট করেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি বিভগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরে ২০ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি