শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়তে পারলো না ওটিস গিবসন একাদশ। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে গড়া দলটি অলআউট হলো ২৩০ রানেই। আজ (শুক্রবার) দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষ বিকেলে প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ওটিস গিবসন একাদশের।
জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের দুই দলে ভাগ করে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার প্রথমটি শুরু হয়েছে আজ। চলবে কাল পর্যন্ত।
আজ লাঞ্চের ঠিক আগের সেশনের মত শেষ সেশনেও একবার বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা ৩টা ছোঁয়ার আগে (২টা ৫০ মিনিটে) বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তাতে ঠিক আধ ঘন্টা খেলা বন্ধ ছিল।
তারপর আবার ম্যাচ শুরু হলেও নাজমুল হোসেন শান্তর দল আর দিন শেষ করতে পারেনি। ৬৩.৪ ওভারে ২৩০ রানের থেমেছে তাদের ইনিংস। লাঞ্চের আগে ৬৪ রান করেছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংসটিই সর্বোচ্চ।
এ সেশনে সবচেয়ে বেশি ৫১ রান এসেছে মিডল অর্ডারে খেলতে নামা সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। সৌম্য ৭৪ বলে ঐ ইনিংসটি সাজান। এছাড়া অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সংগ্রহ ৩৪ (৭৪ বলে)।
অন্যদর মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেছেন ১৩ (২৯ বলে)। আর বাকিরা মানে বোলাররা সবাই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ব্যাট হাতে। এতদিন প্রস্তুতিতে বোলাররা ব্যাটিংয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে দেখা গেলেও ম্যাচ চেহারায় মেলে ধরতে পারেননি। অফস্পিনার নাইম হাসান ২ এবং তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ০, ইবাদত হোসেন ৪ ও হাসান মাহমুদ ০ করে ফেরেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ওপেনার ইমরুল কায়েস আর মিডল অর্ডার লিটন দাস সমান ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ রান।
রান খরচা এবং উইকেটের দিক থেকে রায়ান কুক একাদশের সবচেয়ে সফল বোলার হলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে তার সঙ্গে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলামও।
পেসার তাসকিন আহমেদ ১৭ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে পতন ঘটান ৩ উইকেটের। আর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৩ উইকেট দখল করেন ৭০ রান খরচায় (১৭ ওভারে)। এছাড়া মূলত উইকেটকিপার হলেও অনিয়মিত অফস্পিন বোলিং করে মাত্র ৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন মিঠুন।
খুলনা গেজেট/এএমআর