দুই দিনের দুটি অনুশীলন ম্যাচের পর আরেকটি তিন দিনের ম্যাচ করার ভাবনা থেকে সরে এসেছে বিসিবি। নতুন পরিকল্পনায় আয়োজন করা হচ্ছে তিন দলের একটি ওয়ানডে সিরিজ।
স্কিল ক্যাম্পে ম্যাচ অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রথম দুই দিনের ম্যাচটি হয়ে গেল শুক্র ও শনিবার। দ্বিতীয় দুই দিনের ম্যাচ সোম ও মঙ্গলবার। ক্যাম্পের সূচি অনুযায়ী এরপর হওয়ার কথা ছিল তিন দিনের ম্যাচ। সেটির বদলেই এখন হবে ৫০ ওভারের সংস্করণের সিরিজ।
জৈব-সুরক্ষা বলয়ের চলতি স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্পে থাকা ২৭ ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্ভাব্য হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্রিকেটারদের যোগ করে তিন দলে ভাগ করা হবে ক্রিকেটারদের। এইচপির ক্রিকেটাররাও ঢুকে যাবেন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। প্রতি দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে দুইবার করে। সিরিজটি শুরুর সম্ভাব্য সময় আগমী ১১ অক্টোবর।
বিসিবিতে শনিবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান সভায় বসেছিলেন এইচপির প্রধান নাঈমুর রহমান, দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার এবং জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে। ওয়ানডে সিরিজের প্রাথমিক একটি ছবি দাঁড় করানো হয়েছে এই সভায়। এই সিরিজ নিয়ে সম্ভাব্য একটি ধারণা দিলেন আকরাম খান।
“শ্রীলঙ্কা সফর পিছিয়ে যাওয়ার পর মূলত আমরা ভাবনায় পরিবর্তন এনেছি। সব ফরম্যাটেই ম্যাচ অনুশীলন করতে চাই আমরা। দুই দিনের দুটি ম্যাচ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। ওয়ানডের অনুশীলনের জন্য তাই এই সিরিজটি করতে চাচ্ছি আমরা। ১০ তারিখের পর হবে এই সিরিজ।”
“এখানে ফাইনাল থাকবে কিনা বা খুঁটিনাটি আরও অনেক কিছু এখনও ছুড়ান্ত হয়নি। তবে সব ঠিক থাকলে সিরিজটি হচ্ছে, এটি নিশ্চিত। এইচপির যে ছেলেরা আসবে, ওরাও হোটেলে উঠবে। আপাতত আমরা নিজেদের মধ্যে এসব ম্যাচ ও ঘরোয়া ক্রিকেটেই বেশি জোর দেব।”
একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের যে ঘোষণা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দিয়েছেন কিছুদিন আগে, সেটির অগ্রগতিও জানালেন আকরাম।
“টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কাজও এগিয়ে চলছে। এখনও যদিও নিশ্চিত নয়, কর্পোরেট টুর্নামেন্ট হবে নাকি আমাদের তিন দল নিয়ে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এই টুর্নামেন্ট আমরা নিশ্চিতভাবেই করব।”
খুলনা গেজেট/এএমআর