স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উত্থাপিত প্রস্তাবিত ‘ স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনকে রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে চিকিৎসক নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশ পেনাল কোড (বিপিসি) আইনের ৮৮, ৮৯ ধারায় চিকিৎসাকালীন রোগীর মৃত্য ঘটলে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বিষয়টি আমলাতন্ত্রের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইন করে চিকিৎসকদের সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ, বিদেশী চিকিৎসকদের বাধাহীন রোগী দেখার সুযোগ সৃষ্টি পেশার প্রতি অমর্যাদাকর।
রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিএমএ খুলনার কাজী আজাহারুল হক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
আইনটি প্রত্যাখ্যান করে খুলনা বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন) নেতারা আরো বলেন, খড়সা আইনে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এটি আইন আকারে পাস হলে কোনভাবেই চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ নেতারা আরো বলেন, চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের অনুমতি ও নীতি নৈতিকতা নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেল্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। খসড়া আইনে তাদের শুধুমাত্র নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামো, চিকিৎসকসহ জনবল, রোগ নির্নয়ের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণেল অপর্যাপ্তততা বিষয়ে বিষয়ে আইনে কিছুই বলা হয়নি। এই খসড়া আইনটি বাস্তবায়ন করা হলে, সেটি হবে চিকিৎসক ও রোগীদের জন্য আত্মঘাতি।
খুলনা বিএমএ খসড়া আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের ক্ষমতা প্রদান, চিকিৎসক লাঞ্ছনায় হাস্যকর শাস্তির ব্যবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। খসড়া আইনটি বাতিল ও যুগপযোগী আইন প্রনয়ণের জন্য দেশব্যাপী জনমত গঠনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ খুলনার জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি