চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর-কনেসহ কাজীকে আটক করা হয়। পরে ভ্রম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করে তাদের ছাড়া হয়।
রোববার ১১ টার দিকে উপজেলা খয়েরহুদা গ্রামে কাজী মাহমুদুল হাসান আলমের বাড়ীতে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়,কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেখা খাতুন (১৫) গত শনিবার রাতে একই উপজেলার মুজাহিদের (২২) সঙ্গে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বাজদিয়া গ্রামের আত্মীয় খোকনের বাড়িয়ে আসে। পরে খোকন তাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য জীবননগরের খয়েরহুদা গ্রামের কাজী মাহামুদুল হাসান আলমের বাড়িতে আসে।
আলম বাড়িতে বাল্যবিবাহ পড়াচ্ছেন জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানায়। রাতেই থানা-পুলিশের একটি দল এসে কাজী, কনে, বর এবং তাঁর দুজন অভিভাবক খোকন এবং অলিউল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্রকে জানালে তিনি গতকাল বেলা ১১টার দিকে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দাদের কথা শোনেন। এ ঘটনায় সবার দোষ রয়েছে বলে প্রমাণ পান তিথি মিত্র।পরে বাল্যবিবাহ আইনের ৮ ধারায় কাজী মাহামুদুল হাসান আলমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই আইনের পৃথক ধারায় বর পক্ষকে ৫ হাজার টাকা এবং কনে পক্ষকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না বলে সবাই মুচলেকা দেন। পরে পরিবারের জিম্মায় কনেকে তুলে দেওয়া হয়।
জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, কাজী মাহামুদুল হাসান আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এ কারণে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বর পক্ষকে ৫ হাজার এবং কনে পক্ষকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।