প্রবাসী ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। প্রবাসী ব্যক্তি চাইলে যেখানে আছেন সেই দেশেই কোরবানি করতে পারবেন। আর যদি তিনি নিজ দেশে আত্মীয়দের মাধ্যমে তার পক্ষ থেকে কোরবানি করতে চান তাহলে তার কোরবানি আদায়ের জন্য সময়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
অর্থাৎ, তিনি যেই দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশ অনুযায়ী তার নিজের দেশে কোরবানি করতে হবে। কারণ কোরবানিদাতা যেই দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের সময় অনুযায়ী জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিকের পর তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। ওই সময়ের আগে তার কোরবানির পশু জবাই করে ফেললে কোরবানি আদায় হবে না।
তাই যেসব দেশ সময়ের দিক থেকে বাংলাদেশের পেছনে, সেসব দেশের প্রবাসীর কোরবানির পশু কোরবানি করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে, তার দেশের সময় অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক অতিবাহিত হয়েছে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/২৮৫, কিফায়াতুল মুফতি : ৮/১৮৬, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/২০৪)
কেউ যদি কোনো কারণে জিলহজের ১০ তারিখে কোরবানি করতে না পারেন। তাহলে তিনি পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ, ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি করতে পারবেন। কারণ, ঈদুল আজহা মোট তিন দিন। সে হিসেবে কোরবানিও তিন দিন করা যায়। জিলহজে মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানির সময়। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (বা প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম।
যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব, তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো অপারগতার কারণে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (বুখারি : ২/৮৩২; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)
খুলনা গেজেট/এএজে