কিছু কিছু মানুষ থাকেন যারা যুগে যুগে মানুষের অনুকরণীয় হয়ে থাকেন তাদের কর্মের মাধ্যমে। এমন একজন গুণী মানুষ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর আবদুল কাদির ভূঁইয়া। গত বছর ৩০ মে এই শিক্ষাবিদ অগণিত ছাত্র এবং ভক্তকে কাঁদিয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদকে হারিয়েছে।
আবদুল কাদির ভূঁইয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার পরিকল্পনা ও কর্মের মাধ্যমে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন ধারায় গড়েছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার পর তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। অত্যন্ত অমায়িক বন্ধুবাৎসল খুব অল্প সময়ের মধ্যে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন। তার প্রতিটি কথার মধ্যে থাকতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন। তিনি যতদিন খুলনায় ছিলেন ততদিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তৎপর ছিলেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও সর্বদা খুলনার অনেকের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। ইন্তেকালের কয়েকদিন আগেও তাঁর সঙ্গে আমিসহ কয়েকজনের যোগাযোগ ছিল। পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরে আমার কাছে ধর্ম নিয়ে অনেক কথা শেয়ার করতেন।
আবদুল কাদির ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় পাচরুখী গ্রামে ১৯৪৫ সালে ২০ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শামসুজ্জামান ভূঁইয়া আর মাতা জমিলা খাতুন।
তিনি ২৯ জুলাই ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আবদুল কাদির ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি প্রয়াত এই শিক্ষাবিদকে।