লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করে আসছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নান্নু। সোমবারের বোর্ড মিটিংয়ে নান্নুকে অব্যহতি দিয়েছে বিসিবি। নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিসিবির সাবেক পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।
সোমবার বোর্ড মিটিং শেষে গণমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে লিপুর অন্তর্ভুক্তির খবরটি নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নির্বাচক অর্থাৎ প্রধান নির্বাচক কে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এই ব্যাপারে সময় বেশি লেগেছে। অনেক কিছু বিবেচনা করে আমরা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে নির্বাচিত করেছি।’
গত ৩১ ডিসেম্বর নান্নুর প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরে বিশেষ অনুমোদনে বাড়ানো হয়েছে তাদের মেয়াদ। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন নান্নু। এর আগে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরই মূলত নতুন করে নান্নুর সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে আর আগ্রহ দেখায়নি বোর্ড। শেষমেশ বিসিবির বোর্ড মিটিংয়ের পর টানা ৮ বছরের পালন করা দায়িত্বের যবনিকা টানতে হলো সাবেক এই ক্রিকেটারকে।
নির্বাচক প্যানেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া লিপু এর আগেও বোর্ডে ছিলেন। বিসিবির সাবেক এই পরিচালক ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার ছিলেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবার প্রধান নির্বাচক হলেন।
নান্নুর মতো বাশারও ২০১৬ সাল থেকে নির্বাচক প্যানেলে। তাকেও অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তবে আব্দুর রাজ্জাক আগের জাযগাতেই বহাল আছেন। বাশারের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হান্নান সরকারকে। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত পুরোনো কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। আর নতুন কমিটির দায়িত্ব শুরু হবে মার্চ থেকে। আগামী দুই বছর লিপুর নেতৃত্বে রাজ্জাক-হান্নানরা দায়িত্ব পালন করবেন।