বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর বা সিজিপিএ অর্জনকারী ১৭৮ শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন। এর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬জন শিক্ষার্থীও এই পদক পাচ্ছেন। দেশের ৩৭টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীকে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’-২০১৯ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রোববার (৩০ এপ্রিল) ই্উজিসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, এবার ৩২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত) মোট ১৭৩ জন শিক্ষার্থী এই স্বর্ণপদকের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন করে মোট তিনজন শিক্ষার্থী এই স্বর্ণপদকের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন। তা ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইজন শিক্ষার্থী এই স্বর্ণপদকের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।
এবার প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের তালিকায় সর্বোচ্চ ১১ জন স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর সর্বোচ্চ ৯ জন করে রয়েছে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছয়জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের নাজমুস সাকিফ, সিজিপিএ- ৩.৯৬, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের তমালিকা বালা, সিজিপিএ- ৩.৭৫, জীববিজ্ঞান স্কুলের ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের মাইশা মালিহা মেধা, সিজিপিএ- ৩.৯৫, চারুকলা স্কুলের প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের তাবাসসুম ইমা, সিজিপিএ-৩.৮১, কলা ও মানবিক স্কুলের বাংলা ডিসিপ্লিনের সদানন্দ মন্ডল, সিজিপিএ-৩.৫০ এবং সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের মুক্তা আক্তার, সিজিপিএ-৩.৮৯।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ইউজিসির প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৯ এ প্রাথমিকভাবে মনোনীত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘তাদের এই প্রাপ্তি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’ উপাচার্য তাদের সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করেন। একই সাথে তাদের মেধা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্ব দরবারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে উৎসাহিত করতে ২০০৫ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
খুলনা গেজেট/এনএম