খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর সুফল আজ দেশ ও সমাজ ভোগ করছে। তিনি বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তার উদ্দেশ্য থাকে মহৎ। সেই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান ৮৫ বছরধরে তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করতে সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।
মেয়র আজ (শুক্রবার) সকালে খুলনা নগরীর জেলা আউটার স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৫ বছর পূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। যার প্রমাণ হলো পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল। ২১ জেলার মানুষ পদ্মাসেতুর সুফল ভোগ করছে। এক সময়ের মৃত প্রায় মোংলা বন্দর আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই বন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকার সম্প্রতি ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ পাওয়াপ্লান্ট থেকে ছয়শত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুলনার উন্নয়নের জন্য ২২শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে সড়ক উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৬শত কোটি টাকা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাল খননের জন্য আটশত কোটি টাকার অধিক এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চারশত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ ও নাসির্ং ইনস্টিটউট আজ দৃশ্যমান।
অনুষ্ঠানে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম, মডেল স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর পরিচালক মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সজল, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসএম মোজাফ্ফর রশিদী রেজা, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহামুদ আলম, সংগীত শিল্পী মোঃ সাজ্জাত হোসেন পলাশ, সাবেক শিক্ষার্থী এফএম আজিজসহ সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সাজিত।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে জেলা আউটার স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।