চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য নতুন সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু হল সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও জব পোর্টাল ওয়েবসাইট জবঘর। শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার অভিজাত হোটেল ক্যাসল সালামে জমকালো আয়োজনে কেক কাটার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে চাকরির বিজ্ঞপ্তির ওয়েবসাইটটির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এবং তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রচেষ্টায় আমরা ডিজিটাল যুগে পৌঁছেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইসতেহারে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এর পেছনে অবদান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। মোবাইলের মাধ্যমে এখন সকল তথ্য পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে সবাই। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জবঘরকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা মাত্র ৫ সেকেন্টেই চাকরির আবেদনের সুযোগ পাবে।এই জবঘর এগিয়ে যাবে এবং শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র।
জবঘরের প্রতিষ্ঠাতা ,ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পলাশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. সাবিরুল আলম।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোটিভেশনাল স্পিকার সোলায়মান সুখন।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গণিত বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক জোয়ার্দার। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জবঘরের চেয়ারম্যান শিমুল রায়।
জবঘর সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের সিইও পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, জবঘরের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশী সকল ছাত্র ছাত্রীরা মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে সরকারী ও বেসরকারী চাকরীতে এপ্লাই করার সুযোগ পাবে। এটি জব প্রত্যাশীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী ওয়েবসাইট ,যার মাধ্যমে ঘরে বসেই চাকরিতে আবেদন করতে পারবে। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও প্রাইভেট জবের ক্ষেত্রে মেধা যাচাইয়ের সুবর্ণ সুযোগ পাবে।
অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।