সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীই এত কম সময়ের মধ্যে দুই দফায় ভারত সফরের নজির নেই। আর সেই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২১ জুন দিল্লির উদ্দেশে উড়োজাহাজে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দিল্লি পৌঁছে পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দরাবাদ হাউজে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক। তবে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় সফরটা সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
এখন পর্যন্ত সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দিল্লি সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের কথা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে সফরের ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চুক্তি ও সমঝোতার সংখ্যার পরিবর্তন হতে থাকে। নতুন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মধ্যে এর মধ্যে ভারতের ঋণচুক্তি বাস্তবায়নে গতি আনতে নতুন রূপরেখা চুক্তি, বাংলাদেশে যে কোন পরিস্থিতি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য একটি এমওইউর মত বিষয়গুলো বিবেচনায় রয়েছে।
এছাড়াও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, সংযুক্তি, জ্বালানি, নতুন প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অমিমাংসিত ও অগ্রাধিকারের তালিকায় সব সময় ওপরের দিকেই থাকে তিস্তা। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের নানা কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার পাশাপাশি তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আরও একাধিক কর্মসূচি যুক্ত হতে পারে।
খুলনা গেজেট/কেডি