সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার বেলা ১১টায় শহরের নউ মার্কেট চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, আবু সাঈদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, এড. ওসমান গণি, এড. অনিত মুখার্জী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ’২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরায় আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে দেখে সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা ১১ টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা চালায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ১৫/২০ টি গাড়ী ভাংচুর করে। আহত হয় শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আ’লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় অর্ধশত নেতাকর্মী।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে ১২ বছর পর ২০১৪ সালে ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন। আদালত মামলাটি কলারোয়া থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আসামী পক্ষের করা স্থগিতাদেশ থাকায় সাতক্ষীরার আদালতে বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ঝুলে রয়েছে মামলাটির কার্যক্রম। বক্তারা এ সময় এ মামলার দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম