কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা বন্ধ এবং বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সহিংসতায় দুই শতাধিক মৃত্যুর জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জরুরি এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কলামার্দ এ আহ্বান জানান।
চিঠিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক হতাহতের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ভিন্নমতের প্রতি চরম অসহিষ্ণুতার অভিযোগ আছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বল প্রয়োগসহ শক্তির বেআইনি ব্যবহার মানবাধিকারের প্রতি কর্তৃপক্ষের নির্মম অবহেলা। এর মধ্য দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে থাকার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১০ দিনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিক্ষোভের সময় পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ এবং নথিভুক্ত করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দুটি পৃথক ঘটনায় প্রমাণ যাচাই করে দেখেছে যে, ছয় দিনের যোগাযোগ বিধিনিষেধের মধ্যে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বেআইনি বল প্রয়োগ, প্রাণঘাতী এবং কম-মারাত্মক অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আবদ্ধ স্থানে কাঁদানে গ্যাস এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। চিঠিতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
অ্যাগনেস কলামার্দ আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/এইচ