ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে জোমেল ওয়ারিকানকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রাহি। ওয়ারিকান ফেরার পর ক্যারিবীয়দের সফল জুটি বোনার ও কাইল মায়ার্সের জুটিও টিকতে দেননি তিনি। মায়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন এই পেসার। রাহির পর ক্যারিবীয়দের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম সেশনে তাইজুল-রাহিতে এই তিনটি উইকেটই পেয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৯৮ রান। এরই মধ্যে ২১১ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে সফরকারীরা।
গতকাল শনিবার প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ যত দ্রত সম্ভব ক্যারিবীয়দের থামাতে হবে বাংলাদেশকে। নয়তো বড় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে স্বাগতিকদের।
গতকাল দিনের শেষ দিকে ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই হতাশ করে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাবধানী শুরুর পর প্রথম সেশনে হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। বড় ইনিংস গড়ার আশা জাগিয়ে দুজনেই প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন।
১৩৯ মিনিট ব্যাট করে ৮৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন মিঠুন। এর পর আউট হন মুশফিক। অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ৪৫তম ওভারে রাকিম কর্নওয়ালের বল মিডঅনে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।
দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর প্রথম সেশনে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত লিটন ও মিরাজ জুটি এই শঙ্কা এড়ায়। এই জুটিতে আসে ১২৬ রান। ফলোঅন এড়ানোর পর ভালো ভাবেই আগাচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু নিজেদের ধরে রাখতে পারলেন না। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই আউট হয়েছেন দুজন।
প্রথমে ১৩৩ বলে ৭১ রান করে বিদায় নেন লিটন। এরপর মিরাজের প্রতিরোধ ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল। ১৪০ বলে সাত বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করেন মিরাজ। লিটন-মিরাজ ফেরার পর বেশি দূর এগুতে পারেনি বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এনএম