দায়িত্ব পাওয়ার ৩৬ দিন পর নিজেদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার(৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টার দিকে এ কমিশন সভা শুরু হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অন্যান্য কমিশনাররাসহ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে নতুন এই কমিশন সভা না করেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে দফায় দফায় শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র বলছে, কমিশন সভায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ভোট না হওয়ায় বেশকিছু পৌরসভাসহ সারাদেশের স্থগিত থাকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়টিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান তাদের অফিস শুরু করেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে করণীয় নির্ধারণে গত ১৩ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে সংলাপে বসেছে নতুন নির্বাচন কমিশন।
প্রথম দিন ১৩ মার্চ শিক্ষক সমাজ, ২২ মার্চ সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ এপ্রিল সম্পাদকদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের কমিশন বেছে নেয়ার পরদিন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন তারা।