সাতক্ষীরায় একটি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বহুল আলোচিত বাদশা মিয়াকে দু’ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসাথে তার দু’ সহযোগী এসএম জাহানুর হোসাইন সাগর ও মাসুদ পারভেজকে কারা ফটকে একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৯ মে) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তদন্তকারি কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, ৩০ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার কামান নগরের শহীদুলের দোকান থেকে বাদশা এর ডেরা থেকে দু’টি নকল সীল, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব লেখা একটি নকল নোট প্যাড, খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এর নকল ডিও লেটার/প্যাডে ওসি দেলোয়ার হুসেনের নামে লিখিত মিথ্যে অভিযোগ সহ বিভিন্ন প্রকার নিয়োগপত্র এবং জমাজমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র, ওসি দেলোয়ার হুসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত কপি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পহেলা মে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তফা আলম বাদি হয়ে বাদশা মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক বাবুল আক্তার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রবিবার শুনানী শেষে বাদশা মিয়াকে দু’ দিনের রিমান্ড ও তার দু’ সহযোগী জাহানুর হোসাইন সাগর ও মাসুদ পারভেজকে একদিন করে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরো জানান, এ ছাড়া পরিচয় গোপন রেখে অবৈধ আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে প্রতারণাসহ মানহানিকর তথ্য ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে ২ মে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজি বাদি হয়ে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোঃ জিয়াউর রহমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওইদিন আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। একই সাথে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। তবে রিমান্ড আবেদন আদালতে এসে পৌঁছায়নি।
প্রসঙ্গত, গত পহেলা মে শনিবার ভোরে সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত কথিত ডাক্তার শহরের পলাশপোল এলাকায় বসবাসকারি নড়াইলের বাসিন্দা বাদশা মিয়াকে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন শফিকুল ইসলামের ফাস্ট ফুডের দোকানের পাশ থেকে একটি পিস্তল ও দু’ রাউণ্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আস্ত্র আইন, প্রতারণা ও জালিয়াতি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে অস্ত্র আইনে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহষ্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই