শৈশবে হেঁটেছি কতো কর্দমাক্ত মেঠো পথ, গ্রামীণ জনপদ
সোনালি আঁশ। সোনালি পাট ধানে মাঠে, ক্ষেতে মনোরম শোভা,
দিগন্ত বিস্তৃত পথ।
দেখেছি সন্ধ্যায় ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, অপূর্ব সৌন্দর্যে জোনাক
-জ্বলা বাঁশঝাড় আঙ্গিনা, সূর্যাস্ত রাগ-গোধূলি বেলা।
শীত মৌসুমে সকালে বউসন বিলে নৌকোয় জেলেদের মাছ ধরার
প্রাণান্ত কৌশল, গ্রামের মানুষের মাছ ধরার আনন্দ কৌতূহল
এ যে সুন্দর আনন্দ মেলা সরব বিলের জল।
দেখেছি কেল্লাতাজপুর, বাঘাটিয়ার মাঠে ঘোড়দৌড় – ঐ দিন
-সকাল বেলা। হাডুডু, কাবাডি খেলা, ফুটবল খেলা বিকাল বেলা।
রাজী নদীর তীরে, ঝাউবন, শনক্ষেতে সকালে শিশিরভেজা
রূপালী হাসি। ‘হৃদয়মুগ্ধ প্রকৃতি প্রেমের সমুজ্জ্বল –
আলপনা, আনন্দে মন উতলা।’
নদীতীর, বালুচর কাঁশবনে ফুলে ফুলে সাদা রঙ
হৃদয়জুড়া, নয়নভরা, আকুলতা ভরা।
ঊষার স্নিগ্ধতায়, সূর্যোদয়ের রঙিন কিরণ নির্মল বাতাসে
মন সতেজ, মায়ের মাটি সোহাগভরা।
হিমেল হাওয়ায় কতো স্নিগ্ধ আবেশ জীবনের শান্তি-
সুখ খুঁজে – এ বসুন্ধরা।
গারো পাহাড় বিরিশিরি, সবুজ তৃণলতা ভরা-
মায়াবী সৌন্দর্যে হৃদয় আকুল। আকাশে হাসে
মিটিমিটি তারা। কংশ নদে নৌকোয় ভ্রমণ বিলাসে
শৈশবে নয়নমুগ্ধ প্রকৃতি প্রেম উজাড় করা।
মাঠের ফসলী ঘ্রানে, ডগায় ডগায় হাতের মুঠোয়
কতো প্রীতি গড়া।
বাংলাদেশ আমার সোনালি ভালোবাসার কবিতার ছন্দ-
রঙ ধনু রঙে সাজানো প্রকৃতি চিত্র সৃষ্টিকর্তার
অপূর্ব মহিমা।
প্রাণের গভীর উন্মেষ, এ ভুবন সৌন্দর্যে সদা মাতোয়ারা।
সদা সুখে – আকাঙ্ক্ষায় শুধু আলোর নতুন পশরা।
খুলনা গেজেট/এনএম