১.
রাঙ্গামাটির আঁকাবাঁকা পাহাড়ী ঢালুপথে, শিশির ভেজা –
শীত সকালের সবুজ তাজা ঘাসে বনরূপার তৃণলতা,
বৃক্ষছায়ায়; পায়ে হেঁটে-কতো পথ ঘুরেছি ।
লোকালয় পাশে, পাহাড়ী ঢালে;-বসতি, বিস্তীর্ণ জনপদের মাঝে;
-চাকমা রমণীর কতো যে কায়িকশ্রমের ঝুমচাষ দেখেছি,
আর, লাল-কংকর মাটির, গন্ধ শুঁকেছি ।
ফুলে ফলে ভরা সুশীতল-বনছায়ায় – পত্র-পল্লব গুল্মে, একান্ত
স্নিগ্ধ অনুভবে; উর্বর পাহাড়ী ফসলের ঘ্রানে হৃদয়ের বাসনা
মিটিয়েছি।
সরোবরে,-কাপ্তাই হ্রদ, লেকের জলে ফুটিছে কতো
পদ্ম,-মালতী -‘শাপলার, হরেক ফুল, প্রকৃতির মায়াভরা
সৌন্দর্যে নতুন সৌরভে, আনন্দময় আবেগঘন, সুখী
জীবনের সন্ধান পেয়েছি ।
– কতো সময় ঝর্ণার-ধারে, প্রবাহমান নদীস্রোতে-
অবগাহন করেছি । তুষারপাতে বরফে শীতলতা অনুভব করেছি ।
২.
বৃষ্টিঝরা সন্ধ্যায় ঘরের বাতায়ন খুলে, পুষ্পধামে
নীলাকাশের অপূর্ব-দৃশ্য দেখেছি !!
আকাশের রংধনু রঙে, লাল-সবুজের, শান্ত হাওয়া খুঁজেছি ।
ঊষার দিগন্তে, সৌন্দর্য শুভ্রতা মাঝে, সূর্য উঠার
মনোরম দৃশ্য দেখেছি ।
প্রকৃতি চৈতন্যে, মেঘমালা সাজে কবিতার পংক্তিমালায়
স্বদেশের ভালোবাসার কথা লিখেছি ।
‘লুসাই পাহাড়ের অপরূপ-দৃশ্যে প্রগাঢ় সবুজে দু’নয়ন
মেলেছি ।
৩.
সোনালি স্বপ্নের ভুবনে, জোয়ার ভাটায় সমুদ্র সৈকত
-বালুকায়’ নুড়ি, পাথর, ঝিনুক প্রবাল কুড়িয়েছি ।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বনরাজির সবুজাভ মনোরম বৃক্ষছায়ায়
গ্রীষ্মের উষ্ণ তাপদাহে, ঘর্মাক্ত দেহে, শীতল হাওয়ায় –
-বিশ্রামে; মনের উন্মেষে শত সুখ খুঁজেছি ।
প্রকৃতি প্রেমের সুন্দর মোহমায়ায়, বিনীদ্র রজনী
-প্রহর অলীক স্বপ্নতরঙ্গে ডুবেছি ।
পয়ার কবিতার ছন্দে, বাংলাদেশের রূপ ‘সৌন্দর্য;-
-সুষমা’, শব্দমালা বিন্যাসে, কাব্যের পংক্তিমালায় গেঁথেছি ।
স্বদেশ-প্রেমে, ভালোবাসা সুখে, জীবনকে ধন্য করেছি ।
প্রকৃতি বন্দনায়, জীবনের রঙ বদলিয়েছি,
ধ্রুবতারা আলোকে, স্রষ্টার কতো যে মহিমা, নক্ষত্রপূঞ্জে
সৌরজগৎ দেখেছি । শুধু এ জীবনকে আবিষ্কার করেছি ।
লেখক কবিতাটি তার প্রিয় শিক্ষক (মরহুম) কবি সৈয়দ আলী আহ্সানকে নিবেদিন করেছেন ।