প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের তাণ্ডব। গাছে গাছে ফুটছে ফুল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া সৌন্দর্য। সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ার লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন শোভা।
ঠিক এমনি প্রকৃতি অপরূপ লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সাজে সেজেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা সড়ক। লাল-হলুদ কৃষ্ণচূড়ার সুবাস ও সৌন্দর্যের মুখরিত দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ এখন এই সড়ক। এখানে এসে সবাই স্মৃতি ধরে রাখতে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলায় সড়কের এক পাশে বেড়ে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ। গাছের ডালে ডালে কচি কচি সবুজ পাতার সমারোহ। এরই মধ্যে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা। লাল-সবুজে একাকার হয়ে জায়গাটা যেন আরও অপরূপ সাজে সেজেছে।
এই অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে সব শ্রেণির ভ্রমণপিপাসুরা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এছাড়াও কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে সেলফিতে মেতে উঠছেন সবাই। দেখে মনে হয় এ যেন এক সেলফি স্পট।
এখানে ঘুরতে আসা এম এন নাঈম নামের এক যুবক বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে রাঙ্গাদিয়া লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি। তাই নিজের চোখে কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য দেখার লোভটা সামলাতে পারলাম না।
জানা যায়, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি জন্মে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণচূড়া শুধুমাত্র দক্ষিণ ফ্লোরিডা, দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডা, টেক্সাসের রিও গ্রান্ড উপত্যকায় পাওয়া যায়।
এ দেশে এসে পরিচিত হয়েছে নতুন নামে। অনেকেই মনে করেন যে, রাধা ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এই ফুলের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর সবচেয়ে বড় খ্যাতি হচ্ছে মোহনীয় রক্তিম আভা। সবুজের বুকচিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতোটাই মোহনীয় যে, পথচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
এপ্রিলে গ্রীষ্মের শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতির সবুজ পেছনে ফেলে বেরিয়ে আসতে থাকে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল। মানুষের দৃষ্টিগোচর হতে থাকে তার সৌন্দর্য। তখন আর আলাদা করে তার খোঁজ নেওয়ার দরকার হয় না। প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে।