দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অপরাধীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তানে তালেবানদের অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার রাতের গভীরে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মিটিংয়ের পর তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, শাস্তি কার্যকর প্রকাশ্যে প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে আদালত যতক্ষণ প্রকাশ্যে শাস্তি দেয়ার নির্দেশ না দেয়, ততক্ষণ কোনো মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যে দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড ও লাশ ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ না দেয়, তাহলে এই শাস্তি এভাবে দেয়া যাবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
তালেবানের এই মুখপাত্র আরো বলেন, যেসব অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে, তাদের অপরাধের বিষয়টি জনসমক্ষে ব্যাখ্যা করতে হবে, যাতে মানুষজন ওই অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। উল্লেখ্য, অপহরণের অভিযোগে গত মাসে আফগানিস্তানের হেরাতে গুলি করে হত্যা করা হয় চারজনকে।
এরপর ক্রেন থেকে তাদের লাশ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখে তালেবানরা। হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মৌলভী শীর আহমেদ মুহাজির বলেছেন, অপহরণকে সহ্য করা হবে না। এই শিক্ষা দেয়ার জন্য একই দিনে এসব হত্যাকা- সংঘটিত হয় এবং মৃতদের লাশ বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ে, তাতে দেখা যায়, একটি পিকআপে মৃতদের লাশ। এ সময় একটি ক্রেন থেকে একজনের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তা দেখতে লোকজনের ভিড় জমে যায়। তাদেরকে সামাল দিতে যানটির চারপাশে সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হেরাতের একটি বড় ক্রসিংয়ে একটি ক্রেন থেকে একজনের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার বুকের ওপর লেখা- অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি পেতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম