জানুয়ারির মধ্যে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেসব পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর ভোট আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপাতত পাঁচ ধাপে এসব নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
ইসির আশা, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। পৌরসভার নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সোমবার (২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সিইসি বলেন, ‘আজ আমরা লম্বা মিটিং করেছি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন যেগুলো ডিউ হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা করা, শিডিউল তৈরি এবং রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে যেগুলো করণীয়, সেগুলো ঠিক করেছি। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো হয়তো আমরা করে ফেলবো, হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকে। সেরকম প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
তিনি বলেন, ‘পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমে হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচন সবগুলো ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছুসংখ্যক করা যেতে পারে, এনআইডির ডিজি পৌরসভার নির্বাচনগুলো ঠিক করার পরে যদি মনে করেন, তার ক্যাপাসিটি আছে তবে হয়তো কিছু নির্বাচন ইভিএমে করবে।’
সিইসি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পৌরসভা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো করা হবে। এ সময়ের পৌরসভা খালি হবে ২০টির ওপর। এছাড়া অনেকগুলো হবে উপনির্বাচন।
নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আশা করি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের অনুমান, পাঁচটি ধাপে নির্বাচন শেষ করতে পারবো। এখনও আমরা ঠিক করিনি কয় ধাপে নির্বাচন করা হবে।’
খুলনা গেজেট/কেএম