দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সহিংস বিক্ষোভে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রক্তক্ষয়ী ওই বিক্ষোভেরজেরে একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংস বিক্ষোভে একজন নিহত হওয়ার পর পেরুর একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্দাহুয়াইলাস বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে।
পেরুর পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানবন্দরে ৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ঘিরে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।
মূলত গত বুধবার দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর অভিশংসনের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পেরুর বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্প্যাক বলেছে, গত শনিবার বিকেল থেকে বিমানবন্দরটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ, ভাঙচুর এবং আগুনের সম্মুখীনও হচ্ছে বিমানবন্দরটি।
সংস্থাটিও বলেছে, বিমানবন্দরের টার্মিনালে ৫০ জন বিমানবন্দর কর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘিরে রাখা হয়েছে এবং আরও কিছু লোককে জিম্মি করা হয়েছে।
পরে পেরুর জাতীয় পুলিশ বিভাগ জানায়, কর্মকর্তারা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিমানবন্দরে ছিলেন এবং সহিংস বিক্ষোভে একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এদিকে সহিংস ওই বিক্ষোভে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তারা স্পষ্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। পেরুর ন্যায়পাল জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি একজন কিশোর।
পুলিশ এবং ন্যায়পাল উভয়ই সাম্প্রতিক এই সহিংসতা বন্ধের জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আবেদন করেছে।
বিবিসি বলছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শত শত মানুষ রাজধানী লিমায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কাস্টিলোর মুক্তি এবং তার উত্তরসূরি দিনা বোলোয়ার্তের পদত্যাগের দাবি জানান।
এরপর শনিবার আন্দাহুয়াইলাসে তিন হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভের সময় কয়েকজন পুলিশ স্টেশনে হামলার চেষ্টা করে।
এছাড়া শহরে বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ১৬ জন বিক্ষোভকারী এবং চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে ন্যায়পাল জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক সমর্থন ছিল অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্টিলোর।