“প্রত্যয়”। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের নতুন কর্মসূচি। ১ জুলাইয়ের পর থেকে যোগদান করা স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে এই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়েছে। কেন তারা আন্দোলনে নামলেন আর ‘প্রত্যয়’ স্কিমেই বা কী আছে চলুন জেনে নিন।
প্রত্যয়’ স্কিমে কী আছে?
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা এর মধ্যে যা কম তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে রাখা হবে এবং সমপরিমাণ টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হবে।
প্রত্যয়” স্কিমে মাসিক জমার বিপরীতে কর রেয়াত পাওয়া যাবে ও মাসিক পেনশনে আয়কর দিতে হবে না।
পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পেনশনার মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।
প্রত্যয়” স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য ধার্য করা মাসিক চাঁদা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একত্রে পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।
পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইএফটি (Electronic Fund Transfer) এর মাধ্যমে পেনশনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের টাকা জমা হবে।
চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকৃত পুরো অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে এককালীন ফেরত দেয়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখ বা এর পর নতুন কর্মচারী হিসেবে যোগদানকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান অবসর সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে না। পেনশনাররা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।
উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা আগে থেকেই কর্মরত আছেন এবং যাদের চাকরি ১ জুলাই ২০২৪ তারিখের পর কমপক্ষে ১০ (দশ) বছর অবশিষ্ট আছে তারা স্বেচ্ছায় “প্রত্যয়” স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/লিপু/এইচ
খুলনা গেজেট/এইচ