ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়া তিন শতাধিক যাত্রী দেশে ফেরার জন্য হাইকমিশনে আবেদন করেন। তার মধ্যে ৭০ জন বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোলের একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা তাদের নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন অফিস থেকে এনওসি নিয়ে দেশে ফেরেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশে অবস্থানরত ৫৮ জন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নিচ্ছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। আজ ২৮ জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে ফিরেছে। বাংলাদেশ সরকার ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়ার আগে অনেক যাত্রী দেশে ফেরার জন্য রওনা হয়েছিলেন।
ভারত সীমান্তে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানান, অন্তত একদিন আগে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সীমান্তে এসে আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। ওপারে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। গত দুই দিন ধরে আটকে থাকায় অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্টের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান বলেন, দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর হচ্ছে বেনাপোল। এই বন্দর হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস কাজেই এই বন্দরে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেনাপোল রফতানি গেটে কাস্টমস ও বন্দরের যৌথ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত কার্যক্রমের জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ১৪ দিন ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশনা পত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। সকাল থেকে যাত্রীদের পাসপোর্টের যে আনুষ্ঠানিকতা সেটি বন্ধ রাখা রয়েছে। হাইকমিশনার কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে আসা যাত্রীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে । বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের অভ্যন্তর থেকে বেনাপোল বাজারে চলে না যায় এজন্য বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নজরদারি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে আনসার ও সিকিউরিটি ফোর্সের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে করে ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের বাইরে যেতে না পারে এজন্য সব সময় তৎপর আছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের মুখে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে, ট্রাক চালকের হ্যান্ড স্যানিটাইজ, মাস্ক ও পিপিই নিশ্চিত করা হচ্ছে। তারপরে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই