বাংলাদেশে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের কার্যক্রম নিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ চারজন বিবাদীকে এ রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাবিত আহমেদ খান ও মাহমুদ আল মামুন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন, মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, সাঈদ মো. রায়হান উদ্দিন ও মো. মনিরুজ্জামান।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, পেগাসাস হলো ইসরায়েলি সাইবার আর্মস সংস্থা (এনএসও) গ্রুপ দ্বারা নির্মিত একটি স্পাইওয়্যার, যা গোপনে মোবাইল ফোনের আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডের বেশিরভাগ নতুন সংস্করণে গোপনে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ইনস্টল করানো হয়। এতে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের গোপনীয়তা তথা প্রাইভেসি হুমকির মুখে পড়ে।
এ স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব পেশার মানুষকে নজরদারি করা হচ্ছে। এতে সবার প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই