খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল
  পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৫

পেঁয়াজ-মরিচের ঝাঁজ কমেছে, ফের বেড়েছে ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে, তবে বেড়েছে ডিমের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২৪ টাকা। পরিবহন ও খাবারের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে ডিমের এ মূল্যবৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ সিন্ডিকেট করে এ পণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে।

নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৩ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ১৫ দিন আগেও দেশী ৩৮ থেকে ৪২ টাকা ও ভারতীয় এলসি ২৫ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে গত ৩ দিন আগে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা করে ডিমের হালি বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার তা ৪৬ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ কাঁচা বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, ১৫ দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেশী ছিল। বর্তমানে এ পণ্যটির দাম কমে গেছে। তাছাড়া বাজারে এলসি পেঁয়াজের আমদানি বেশ। এখন পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকায় অনেক কৃষক কম দামে পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছে। যে কারণে এ পণ্যটির দাম কম।

একই বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম এলে ঝালের দাম বাড়ে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অতিবর্ষনের ফলে গাছ মারা যায়। ফলে বাজারে সরবরাহ সংকট থাকে। আর সংকট থাকার কারণে এর দাম বেড়ে যায়। তখন আমাদের ভারতীয় ঝালের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এবার বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেশ আছে। কিন্তু ক্রেতা কম।

অন্যদিকে পল্ট্রি খাবার ও পরিবহন খরচের অজুহাত দেখিয়ে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২৪ টাকা। নগরীর সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী করিম বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে হালি প্রতি বেড়েছে ৮ টাকা করে। এ দাম বৃদ্ধির জন্য তিনি বৃষ্টিকে দায়ি করেছেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন অতিমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে খুলনায় তেমন ডিম আসতে পারেনি। চাহিদা বেশী থাকায় ডিমের সংকট আছে। আর এ কারণেই বেড়েছে ডিমের দাম।

সান্ধ্য বাজারের ক্রেতা গোলাম ছামদানি সাকিব বলেন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচে স্বস্তি থাকলেও অস্বস্তি বেড়েছে ডিমে। তিন দিন আগে যে ডিম হালি প্রতি মানভেদে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা থাকলেও আজ তা ৪৬ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ি করেছন।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ না হলে কোন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!