সরকার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হছে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অপর দিকে বিজি প্রেস সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে চালের দাম। চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির অনুমতি দিয়েও উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পরে আমদানি উৎসাহিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২৭ ডিসেম্বর বিদ্যমান চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। শুল্ক কমিয়েও চালের বাজার সহনীয় করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে চালের আমদানি শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।
অপরদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। কারণ, মিশর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ এখন আর কেউ কিনছেন না। আমদানি করা এই পণ্যটি পঁচে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। আবার ভারতের পেঁয়াজ আসা অব্যাহত থাকলে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে। এতে দেশের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্কারোপের অনুরোধ জানিয়ে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি লেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সুরক্ষা দিতেই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
খুলনা গেজেট/এনএম