কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে আবারও বড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত দশদিন ধরে এ পণ্যটির মূল্য হু হু করে বেড়ে চলেছে। তেলের পরে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে চিন্তা বাড়িয়েছে শহরের সীমিত আয়ের মানুষের। খুলনার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ বছর দেশী পেঁয়াজের ফলন ভালো হলেও নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকা। প্রতিকেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ টাকা। বুধবার (২ মে) পাইকারি বাজারে এর দাম ছিল ৫০ টাকা। যা গত দশদিন আগে খুচরা বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সোনাডাঙ্গাস্থ কেসিসি কাঁচা বাজারের নিউ ফারাজী ভান্ডারের মালিক জানান, কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গেল মঙ্গলবার এ বাজার থেকে ৪২-৪৩ টাকা দরে পাইকারিতে পোঁয়াজ বিক্রি করেছেন। অথচ আজ তাকে ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেড় মাস ধরে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। ভারত থেকে আমদানি থাকলে বাজার মূল্য কম থাকত বলে তার দাবি।
এ বাজারের মেসার্স বাণিজ্য ভান্ডরের মালিক মোঃ মালেক জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে গত দেড় মাস। এরপরেও দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। দেশে এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি গুদামজাত করে রাখছে। এ কারণে মোকামগুলোতে তেমন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যায় তা দেশে সর্বত্র ভাগভাটোয়ারা হয়ে যাচ্ছে। গত তিনদিন আগে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এ জন্য দাম চড়া ছিল। তবে উর্ধ্বমূল্য বেশীদিন থাকবে না। সপ্তাহের মধ্যে এ পণ্যটির দাম আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নগরীর শেখপাড়া কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মাদ জানান, তিন দিন বাজার চড়া। ট্রাক টার্মিনাল থেকে তাকে চড়া দরে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হচ্ছে। তার দোকানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শেখপাড়া বাজার এলাকায় মনিরা বেগম পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতিও ভাল। তারপরও দাম বৃদ্ধির কারণে তিনি হতাশ। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ গুদামজাত করে বাজারকে অস্থির করতে চায়।