ভারত থেকে চাল আমদানির পরও বাজারে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম দফায় দফায় বাড়নো হয়েছে। অন্যদিকে গত কয়েকদিন বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও আবারও কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোজ্যতেল সয়াবিনের বাজারে আপাতত: কোন সুখবর নেই। প্রতি সপ্তাহে তেলের মূল্য ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বৃদ্ধি করছে কোম্পানীগুলো। বর্তমানে বাজারে সয়াবিন তেল তীর প্রতি ৫ লিটার ৬১০ টাকা, বসুন্ধরা (৫ লিটার) ৬০০ টাকা, ফ্রেস (৫ লিটার) ৬১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। থেমে নেই খোলা সয়াবিন তেলের দামও। তা বর্তমানে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে দোকানীরা তাদের দাম কম করে বলে, এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
এদিকে পোঁয়াজের বাজার আবারও উর্ধমুখী হয়ে উঠেছে। গত দু’সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ২৮ থেকে ২৯ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে এই দাম বেড়েছে ৭/৮ টাকা করে। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের যথেষ্ঠ মজুদ থাকা সত্ত্বেও কোন কারণ ছাড়াই পেঁয়াজের নতুন করে মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন।
অন্যদিকে ভারত থেকে চাল আমদানির পরও বাজারে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। শুক্রবার ( ৫ ডিসেম্বর ) নগরীর কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ভেবেছিলেন যে বাজারে ভারতীয় চাল আসলে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কিন্তু তাদের সে ভাবনা উল্টো হল, কারণ ভারতীয় বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তারা আমদানিকৃত চাল ৫০ টাকা দরে পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করছেন এবং তা খুচরা পর্যায়ে ৫২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। মিনিকেট সরু ৬২ টাকা, মাঝরি মানের ৫৮ টাকা, বাশমতি ৬৩ টাকা, ভালো মানের ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দু’একের মধ্যে আরও একদফা এই দাম বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
নগরীর দোলখোলা বাজারে সদয় ক্রেতা মোঃ আবু হানিফ জানান, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মাসে ৮ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে তিনি তিন লিটার তেল ক্রয় করেছেন, বাকীটা তিনি পরে কিনবেন।
অপরদিকে জোড়াকল বাজারে কথা হয় দিন মুজুর মুহসিনের সাথে। আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়তে থাকলে তাদের মতো লোকের অবস্থা কি হবে তা ভেবে বেশ চিন্তিত মুহসিন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি