‘অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান’। শনিবার (১০ মে) এই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’’
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ভারত। পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সাংবাদিক বৈঠকে আসেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। তিনি বলেন, “আজ বিকেল ৫টা থেকে ভারত আর পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” মাত্র ১ মিনিটের জন্য স্থায়ী হয় সাংবাদিক বৈঠকটি।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনসের মহাপরিচালক ভারতের তাঁর সমমর্যাদার কর্মকর্তাকে ফোন করেন। সেই আলোচনায় উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে আজ ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—সব ক্ষেত্রেই সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। উভয় দেশেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে এক্স হ্যান্ডেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছে।
ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সাথে কোনো আপস করেনি।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি বৃহৎ পরিসরে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টিরও বেশি ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) জিও নিউজকে ইসলামাবাদের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের মধ্যে ভারতের অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে পরিচালিত হয়েছে।
গত ৫ ও ৬ মে রাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নতুন অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পর এই হামলা চালালো ইসলামাবাদ। এটি উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন ঘোষণা এলো।
খুলনা গেজেট/এমএনএস