খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বাংলাদেশের মতো তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে, আর্থিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহবান: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ড. ইউনূস
  সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ

পুলিশ কর্মকর্তার ১৮ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’, দুদকের মামলা

গেজেট ডেস্ক 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বাদী হয়ে স্থানীয় দুদক কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ বর্তমানে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম শাখা) হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ ১৯৯১ সালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ও চোরাকারবারীদের সঙ্গে সখ্য, মিথ্যা মামলা রেকর্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ২০২০ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় উদ্বোধনের পর পিরোজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন। যেগুলো ব্যবহার করে তিনি এক কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখা এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা হয়েছে। ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পরিশোধ করে তার মা কারিমা খাতুনের নামে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিরা অবৈধভাবে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার পদমর্যাদার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা নিজের নামে, স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে করেছেন।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বলেন, অনুসন্ধানে সৈয়দ আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি সাড়ে ১৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪–এর ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধি ১৮৬০–এর ৪২০/ ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭–এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২–এর ৪ (২), ৪ (৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!