খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা অমিত কুমার মন্ডলের ছেলে অনুভব মন্ডল যশ (৪) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী শিশুটির মা তনুশ্রী মহালদারকে (২৪) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নয়ন বিশ্বাস তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অমিত কুমার মন্ডলের স্ত্রী তনুশ্রী মহালদার তাদের সন্তান অনুভব মন্ডল যশকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতো। গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তনুশ্রী মহালদার ছেলেকে নিয়ে বটিয়াঘাটার ফুলতলা সাকিনস্থ তার শ্বশুরবাড়ি আসেন। রাতের খাবার খেয়ে ছেলে অনুভব মন্ডল যশকে দ্বিতলা ভবনের নিচতলার নিজ কক্ষে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকাল অনুমান ১০টার দিকে তার শ্বাশুড়ি পুস্প মন্ডল তনুশ্রীকে উঠতে বললে পরে উঠবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তনুশ্রীর মা জোনাকী মহালদার তার শ্বশুড়বাড়িতে আসে। তিনি তার নাতি যশকে কোলে তুললে অচেতন অবস্থায় গলায় কালো দাগ দেখেন। তখন তিনি চিৎকার করলে বাড়িতে উপস্থিত সকলে মিলে দ্রুত যশকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে পুলিশ নিহত শিশু অনুভব মন্ডল যশের মা তনুশ্রী মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে তার আচরণে সন্দেজনক ও রহস্যময় মনে হয়। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় পুলিশ তনুশ্রী মন্ডলকে গ্রেপ্তার দেখায়। দুপুরে আদালতে নেয়া হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে পুলিশ তার রিমান্ডের আবেদন করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে শিশু যশের কাকা অনুপ মন্ডলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক নয়ন বিশ্বাস ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে এএসআই অমিত কুমার মন্ডল বাদী হয়ে তার ভাই অনুপ মন্ডলকে আসামী করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা (নং- ১ ) দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন