করোনাভাইরাসে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি নানামুখী দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় একক পেশাজীবী হিসেবে এ মহামারিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এখন পর্যন্ত পুলিশের সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৮ জন।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মোট ১৯ হাজার ৫০১ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য রয়েছেন ৩ হাজার ২৭৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব সদস্যের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫০ জন। গত ২০, ২১ ও ২২ মার্চ পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭, ২৪ এবং ৭ জন। তবে চার দিনের ব্যবধানে ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫৩, ২৪, ২৬ এবং ৪৯ জন।
জানা যায়, চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যায় গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৮ জন সদস্য এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মোট ২৩৪ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি অবহিত করা হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী ও বিভাগীয় শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম