রাজধানীর ডেমরায় ‘পুলিশের ধাওয়া খেয়ে’ শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দেওয়া ২ যুবকের মধ্যে মো. মাসুদ (৩৫) নামে একজনের লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
লাফিয়ে পড়ার ১ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে সারুলিয়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার দুপুর ২টার দিকে করিম মিল সংলগ্ন নদীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।স্রোতের টানে নদীতে ডুবে যাওয়ায় ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার মাসুদের সন্ধান পায়নি।নিহত মাসুদ সারুলিয়া টেংরা আনসার হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মাসুদের বন্ধু হাশেম নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে ট্রলারে উঠে ওপারে যেতে সক্ষম হন।
মাসুদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাসুদের ভাই বাবু জানান, হাশেমসহ তারা দুই ভাই গাঁজা সেবন করে নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত দুই কনস্টেবলসহ সাদা পোশাকে ডেমরা থানার একজন পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। তখন ভয়ে মাসুদ ও হাশেম পানিতে লাফ দেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. উসমান গণি বলেন, আমরা সোমবার আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টার থেকে ডুবুরি দল আনাই। তারা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও মাসুদকে খুঁজে পাইনি।
পুলিশের ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ মাসুদের পরিবারের লোকজনসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি ওই পুলিশদের পরিচয় জানতে। তারা কারো পরিচয় জানাতে পারেনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে পলাতক ও নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ওদের নামে মাদক মামলা রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা থানায়।
খুলনা গেজেট/ এএজে