সাতক্ষীরায় অজ্ঞান পার্টির সর্দার আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে বাবু ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বোরবার (৯এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা হলো, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে পর্র্টির প্রধান আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে বাবু (৩৫), বাবুর স্ত্রী আয়েশা খাতুন ও সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (২৫) ।
আটক হওয়ার পর অজ্ঞান পার্টির সর্দার আবুল খায়ের বাবুর স্বীকারোক্তি মতে কালিগঞ্জের চৌবাড়ীয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ৫ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের আংটি, নগদ নয় হাজার টাকা, এক বোতল চেতনানাশক তরল পদার্থ, এক কৌটা চেতনানাশক গুড়া ও দুই বোতল পোর্টেবল গ্যাস রেন্স উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের চুরি সংঘটিত হয়ে আসছিলো। তার ধারাবাহিকতায় ৩১ মার্চ রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলকায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে নগদ ৯ হাজার টাকা ও ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল যার মূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ আনা ওজনের একটি আংটি চুরি কওে নিয়ে যায়। তাছাড়া আলীপুর কুলপোতা গ্রামের হারাণ চন্দ্রের বাড়িতে একই ভাবে চুরি সংঘটিত হয়। ভুক্তভোগীদের মামলার প্রেক্ষিতে অজ্ঞান পার্টির সর্দার বাবুকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে বাবুর স্ত্রী আয়েশা খাতুন ও সহযোগী সাগরকে আটক করা হয়।
অজ্ঞান পার্টির সর্দার বাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫ টি মামলা রয়েছে। তার অপর সহযোগী সাগরের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের প্রতিহত করতে জেলা পুলিশ সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড